কুমিল্লার তিতাস উপজেলার শাহপুর গ্রামে ঈদ জামাতের সময় বক্তব্য দেওয়াকে কেন্দ্র করে জাহাঙ্গীর চেয়ারম্যান গ্রুপ ও ফারুক চেয়ারম্যান গ্রুপের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে পাঁচজন গুলিবিদ্ধ ও ১২ জন আহত হয়েছেন। গুলিবিদ্ধদের চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে এবং আহতদের তিতাস উপজেলা হাসপাতাল ও গৌরীপুর হাসপাতাল চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
আজ সোমবার বিকেলে তিতাস উপজেলা মজিদপুর ইউনিয়নের শাহপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
video link
https://www.facebook.com/share/r/1Eu42v9hpu/
জাহাঙ্গীর চেয়ারম্যান গ্রুপের গুলিবৃদ্ধরা হলেন তার বড় ভাই রিপন সরকার (৫৬), সাদ্দাম হোসেন (২৫), রবিউল হোসেন (২৮), ফারুক (২৪) ও হৃদয় হোসেন (২১)।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে। এর মধ্যে ঈদের দিন ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর ঈদ জামাতের সময় বক্তব্য দেন। তার বক্তব্য দেওয়াকে কেন্দ্র করে ফারুক চেয়ারম্যানের লোক আলী হোসেন কুটি এর প্রতিবাদ করলে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়।
পরে ফারুক চেয়ারম্যান লোকজন অস্ত্র নিয়ে জাহাঙ্গীর চেয়ারম্যানের বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাট করে। এ সময় উভয় পক্ষের গোলাগুলিতে জাহাঙ্গীর চেয়ারম্যানের পাঁচজন গুলিবিদ্ধ হয় এবং ২৫ জন আহত হয়। পরে তিতাস থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
গোলাগুলির বিষয়ে জাহাঙ্গীর চেয়ারম্যান তিনি বলেন, ফারুক চেয়ারম্যান ও তার ছেলে ফারাবি নিজে অস্ত্র নিয়ে আমার বাড়িতে হামলা করে এবং আমার ভাইয়ের ওপর গুলি করে।
তাদের গুলিতে আমার ভাই রিপনসহ ৫ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছে। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক। আমি প্রশাসনের কাছে তাদেরকে দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানাচ্ছি।
হামলার বিষয়ে ফারুক চেয়ারম্যান বলেন, জাহাঙ্গীর চেয়ারম্যান দেশে এসেই আমার লোকজনের ওপর হামলা চালায়। এবং বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাট করে।
তাদের হামলায় আমার ১০/১৫ জন আহত হয়েছে।
তিতাস থানার ওসি মো. শহীদুল্লাহ্ বলেন, ফারুক চেয়ারম্যানকে কিছুদিন আগে অস্ত্র মামলায় আটক করা হয়েছিল। সে জামিনে এসে এলাকার পরিবেশ নষ্ট করে। আমরা দুই পক্ষকে শান্ত রাখার চেষ্টা করেছি। তবে এলাকার পরিবেশ শান্ত রয়েছে। আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।