সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলায় ৭ বছর বয়সী শিশুকন্যাকে হত্যায় অভিযুক্ত সেই সৎমাকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি পুলিশ। রবিবার (১৩ জুলাই) দিবাগত রাত সোয়া ১২টার দিকে উপজেলার মুগবেলাই এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সোমবার (১৪ জুলাই) বিকেলে তাকে আদালতে হাজির করা হলে সে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এর আগে রবিবার রাত ১০টার দিকে নিজ ঘর থেকে বস্তাবন্দি অবস্থায় শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
গ্রেপ্তার রুবি আক্তার (৩০) উপজেলার কুটিরচর গ্রামের হারুনর রশিদের স্ত্রী। নিহত শিশু হাজেরা খাতুন (৭) হারুনর রশিদের প্রথম স্ত্রীর মেয়ে।
সিরাজগঞ্জ ডিবির ওসি একরামুল হোসাইন বলেন, প্রায় ৭ বছর আগে শিশু হাজেরার মা স্বামী-সন্তান রেখে অন্যত্র পালিয়ে যান। এরপর রুবি আক্তারকে দ্বিতীয় বিয়ে করেন হারুনর রশিদ।
শিশুটির বাবা কর্মের কারণে বাড়িতে থাকত না। এই সুযোগে শুরু থেকেই সৎমা রুবি শিশু হাজেরাকে মারধর ও নির্যাতন করত।
রবিবার দুপুরে সৎমা রুবি শিশু হাজেরাকে হত্যার পর বস্তাবন্দি করে একটি বালতির ভেতর তুলে নিজ ঘরের খাটের নিচে রেখে পালিয়ে যায়। ওই সময় সে নিজের দুই জমজ সন্তানকে বাড়িতেই রেখে যায়।
অনেক খোঁজাখুঁজি পর সন্ধ্যায় স্বজনরা ঘরের মধ্যে শিশু হাজেরার মরদেহ দেখতে পায়। রাত ১০টার দিকে ঘটনাস্থল থেকে শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে থানা পুলিশ। এরপরই অভিযুক্তকে ধরতে ডিবির একটি টিম মাঠে নামে। তারা রাত সোয়া ১২টার দিকে অভিযুক্ত রুবিকে গ্রেপ্তার করেন।
এরপর সোমবার বিকেলে তাকে আদালতে হাজির করা হলে সে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শাহরিয়ার শরিফ বাপ্পি জবানবন্দি রেকর্ড করেন। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় নিহত শিশুটির বাবা হারুনর রশিদ বাদী হয়ে কামারখন্দ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।