রাতের খাবার শেষে ঘুমিয়ে পড়েছিলেন ঘরের বাসিন্দারা। হঠাৎ গভীর রাতে উঠানে মোরগের ডাক শুনে ধারণা হয়- কেউ হয়তো মুরগি চুরি করছে, কিংবা খোপে শিয়াল ঢুকেছে। এ ভেবে দরজা খোলেন গৃহকর্তা। কিন্তু মুহূর্তের মধ্যেই ৭-৮ জন ধারালো অস্ত্র হাতে ঢুকে পড়ে ঘরে এবং গৃহকর্তাকে কুপিয়ে হত্যা করে।
গত শনিবার (৯ আগষ্ট) গভীর রাতে কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার শিলখালী ইউনিয়নের জারুলবনিয়ার সেগুনবাগিচা এলাকায় এ হত্যাকাণ্ড ঘটে। নিহত মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন (৪৫) উপজেলার মাঝেরঘোনা এলাকার নুর আহমদের ছেলে। প্রায় একযুগ ধরে তিনি পরিবারসহ সেগুনবাগিচার পাহাড়ি এলাকায় বসবাস করছিলেন।
ঘটনার পর রবিবার সকালে পুলিশ দুজনকে আটক করেছে। তারা হলেন- শিলখালীর জারুলবনিয়ার সাপেরগাড়া এলাকার মনছুর আলম (৪৫) ও জকিরুল ইসলাম (৫৫)।
স্থানীয়দের ভাষ্য অনুযায়ী, রাত দেড়টার দিকে হামলাকারীরা ঘরে ঢুকে জসিম উদ্দিনের কান, ঘাড় ও মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপায়। এসময় জসিমের স্ত্রী দৌড়ে পাশের বাড়িতে গিয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়েন। জ্ঞান ফেরার পর তিনি প্রতিবেশীদের খবর দিলে তারা এসে ঘরের ভেতরে জসিমের লাশ দেখতে পান।
নিহতের স্ত্রী সেলিনা আকতার জানান, হত্যাকারীরা মোরগটি সঙ্গে নিয়ে এসেছিল। মোরগের ডাক শুনে তিনি ভেবেছিলেন, খোপ থেকে মুরগি চুরি হচ্ছে, তাই দরজা খুলেছিলেন। কিন্তু দরজা খোলার সঙ্গে সঙ্গেই তারা ঢুকে তার স্বামীকে হত্যা করে।
তিনি আরও বলেন, তাদের একমাত্র ছেলে মালয়েশিয়ায় থাকেন। ওই ছেলের সঙ্গে স্থানীয় এক তরুণীর প্রেম ছিল। সম্প্রতি ওই তরুণী ঘর থেকে পালিয়ে গেলে তার পরিবার থানায় অভিযোগ করে। একই ঘটনার জেরেই তার স্বামীকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন সেলিনা।
শিলখালী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আহমদ শফি জানান, রবিবার সকালে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে লাশ উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।
পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সিরাজুল মোস্তফা বলেন, হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দুজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। ঘটনার তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।