বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন দিতে সরকার যা যা কাজ করছেন - DAILY UPDATE
Breaking News

বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন দিতে সরকার যা যা কাজ করছেন

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস জানিয়েছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার অংশগ্রহণমূলক ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করতে কাজ করছে।

তিনি বলেছেন, একটি অংশগ্রহণমূলক, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনী ব্যবস্থা গড়ে তোলার লক্ষ্যে আমরা একটি নতুন রাজনৈতিক কাঠামোর চারপাশে জাতীয় ঐকমত্য গঠনের জন্য কাজ করছি।

মঙ্গলবার রাজধানীর হোটেল ইন্টার কন্টিনেন্টালে জাতিসংঘের তথ্য অনুসন্ধান প্রতিবেদনে সুপারিশ বাস্তবায়নে জুলাই স্মরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। ২০২৪ সালের জুলাই আন্দোলনের এক বছর পূর্তি উপলক্ষে এ অনুষ্ঠান আয়োজন করে ঢাকায় জাতিসংঘ মানবাধিকার মিশন।

ড. ইউনূস বলেন, আমাদের লক্ষ্য স্পষ্ট; এমন একটি সমাজ গড়ে তোলা যেখানে বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষ শান্তিতে, মর্যাদায়, স্বাধীনতায় ও গর্বের সঙ্গে বসবাস করতে পারে।

তিনি বলেন, আমাদের কাজ এখনো শেষ হয়নি। সংস্কার কর্মসূচির পাশাপাশি আমরা যারা মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য দায়ী, তাদের জবাবদিহি নিশ্চিত করতে আইনি পদক্ষেপ নিচ্ছি।

তার মতে, ন্যায়বিচার কেবল শাস্তির মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। ‘ন্যায়বিচার মানে হলো-রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা যেন আর কখনো জনগণের বিরুদ্ধে দমন, নিপীড়ন বা ধ্বংসের অস্ত্র হিসেবে ব্যবহৃত না হয়’- বলেন প্রধান উপদেষ্টা।

অনুষ্ঠানে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান, ভুক্তভোগী পরিবারের প্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতা, তরুণ সমাজের প্রতিনিধি, সুশীল সমাজ ও আন্তর্জাতিক অংশীদাররা অংশ নেন।

প্রধান উপদেষ্টার অনুরোধে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয় (ওএইচসিএইচআর) একটি স্বাধীন তথ্য-উপাত্ত অনুসন্ধান মিশন জুলাই-আগস্ট ২০২৪ এর ঘটনাবলির তদন্ত করে। গত ১২ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে বিস্তারিত তথ্য, সুপারিশ ও ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে প্রয়োজনীয় করণীয় তুলে ধরা হয়।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশের জনগণের পক্ষ থেকে আমি জাতিসংঘকে ধন্যবাদ জানাই-আমাদের সবচেয়ে অন্ধকার সময়ে আমাদের পাশে থাকার জন্য। আমাদের সামনে এগিয়ে যাওয়ার পথে আমরা জাতিসংঘের সহযোগিতা প্রত্যাশা করি।

তিনি বলেন, এটি ছিল এমন এক মুহূর্ত, যখন হাজার হাজার নারী-পুরুষ-যাদের অধিকাংশই তরুণ-নির্মমতা ও স্বেচ্ছাচারিতার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে দেশের মর্যাদা ও ভবিষ্যৎ পুনরুদ্ধার করে। তাদের সাহস শুধু বাংলাদেশের জন্য নয়, মানবতার পক্ষেও এক অমোঘ বার্তা ছিল।

ড. ইউনূস বলেন, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে রোহিঙ্গা সংকট এবং ২০২৪ সালের অন্ধকার সময় পর্যন্ত জাতিসংঘ সবসময় বাংলাদেশের পাশে থেকেছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর জাতিসংঘ সব মানুষের-ধর্ম, বর্ণ, লিঙ্গ বা অবস্থান নির্বিশেষে অপরিহার্য অধিকার নিশ্চিত করতে যে ঘোষণা দিয়েছে, সেটি বাংলাদেশের সংবিধানে গভীরভাবে প্রোথিত।

Check Also

টিউশন করে খরচ চালাতেন দুই ভাই, কয়েক মাস হলো ছেড়ে দেন

রাজধানীর গুলশানে আওয়ামী লীগের সাবেক এক সংসদ সদস্যের বাসায় চাঁদাবাজির অভিযোগে গ্রেপ্তার চারজনের মধ্যে দুজন …

ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক থেকে বিএনপির ওয়াকআউট

সোমবার (২৮ জুলাই) ঢাকার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সাথে রাজনৈতিক দলগুলোর দ্বিতীয় পর্যায়ের …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *