ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকারের পতনের এক বছর পার হচ্ছে। এরই মধ্যে দেশের রাজনীতির নানা গতিপ্রকৃতি দেখা যাচ্ছে। এমন প্রেক্ষাপটে জুলাই গণ-অভ্যুত্থান, এর আগে-পরের বিষয় নিয়ে প্রথম আলোর সঙ্গে কথা বলেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন প্রথম আলোর বিশেষ প্রতিনিধি সেলিম জাহিদ।
মির্জা ফখরুল: শারীরিক দিক দিয়ে খুব ভালো নেই। মানসিক দিক দিয়ে কষ্ট পাচ্ছি দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে।
অনেক দিন চিকিৎসার জন্য বাইরে ছিলেন। দেশে ফিরেছেন। সংস্কার-নির্বাচন নিয়ে অনেক আলোচনা-বিতর্ক চলছে। অনেকের মধ্যে আলোচনা, আপনাকে ঠিক আগের ভূমিকায়, যেমনটি বিগত বছরগুলোতে দেখা গেছে, সে রকম দেখা যাচ্ছে না।
মির্জা ফখরুল: এটা ঠিক না। আপনি জানেন যে ৫ আগস্টের পর আমি বেশ কিছুদিন বাইরে ছিলাম। কিছুদিন পর আবার আমি মেয়ের কাছে গিয়েছিলাম। সেখানে কিছুদিন ছিলাম। ফিরে এসে আবার আমি লন্ডনে গিয়েছিলাম, বেশ লম্বা সময় ছিলাম। তারপর ফিরে এসে আবার আমি চোখের অসুখে পড়লাম। সেই অসুখে আমাকে ব্ল্যাক মার্ক হয়ে থাকতে হয়েছে। সেটা একটা কারণ, অন্য কোনো কারণ নেই।
আর বিএনপি একটি বিশাল দল। আমাদের দলের মধ্যে কাজ ভাগ করে হয়। যেমন ধরুন, সংস্কারের ব্যাপারে আপনারা আমাকে দেখছেন না। সংস্কারের বিষয়ে প্রথম যে মিটিংটা হয় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের, সেখানে কিন্তু আমি গেছি। এরপর আমাদের সংস্কার কমিশন অনুযায়ী যে কমিটিগুলো করে দেওয়া হয়েছে, সেখানে আমার অনুপস্থিতি আপনারা দেখছেন। আমাদের পার্টি থেকেই আমরা এ কমিটিগুলো করে দিয়েছি। দলের স্থায়ী কমিটির নির্দেশনা অনুযায়ী তাঁরা কথা বলছেন, কাজ করছেন।
গত বছরের এই সময়ে ছাত্র আন্দোলনে রাজপথ ছিল উত্তাল। ৫ আগস্ট স্বৈরাচারী সরকারের পতন হয়। জুলাই গণ-অভ্যুত্থান থেকে বিএনপি কী শিখল?
মির্জা ফখরুল: বিএনপির জন্য তো এই শিক্ষা পুরোনো। এই অঞ্চলের মানুষ শাসক গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে লড়াই-সংগ্রাম করে আসছে সেই মোগল-ব্রিটিশ আমল থেকে। আর বিগত ১৫-১৬ বছর ফ্যাসিস্টদের বিরুদ্ধে তো আমরাই আন্দোলন করেছি।
এখানে একটা কথা বলি, যেটা আমি বারবার বলেছি, জনসভায় বলেছি যে তরুণেরা এগিয়ে না এলে এই আন্দোলন সফল হবে না। আপনাদের নিশ্চয়ই মনে আছে। এরপর কোটা আন্দোলন যখন শুরু হলো, এই আন্দোলনে ছাত্ররা যখন এগিয়ে এল, অনেকে বলেন যে আপনারা তখন যুক্ত হননি কেন। কোটা আন্দোলনের সঙ্গে আমরা যুক্ত হইনি সংগত কারণে। এই কারণে যে ছাত্ররা বলবে আপনারা কেন আমাদের সঙ্গে। অতীতে এ রকম কথা হয়েছে। ফলে আমরা তাদের সমর্থন দিয়েছি। আমাদের ছাত্রদলকে নির্দেশ দেওয়া ছিল, তারা যেন আন্দোলনে অংশ নেয়। করেছেও তা-ই, বেগবান হয়েছেও তাই। সেই সময় ছাত্রনেতাদের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ হয়েছে, আমাদের চেয়ারম্যানেরও (তারেক রহমান) হয়েছে।
পরবর্তী সময়ে এটা যখন সরকারবিরোধী আন্দোলনে মোড় নিল, তখন সার্বক্ষণিকভাবে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে। আমাদের টপ লিডারদের সব জেলে গেছেন। তখন একমাত্র আমি আর আব্বাস ভাই (মির্জা আব্বাস) বাইরে ছিলাম। আমি প্রতিদিন গুলশান অফিসে প্রেস কনফারেন্স করেছি এবং বলেছি আমাদের থাকা (এই আন্দোলনে) উচিত। প্রতিদিন আমাদের নেতারা যাঁরা আছেন, তাঁরা আন্দোলন করেছেন। আন্দোলন তো আমরা করেছি আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে।
আপনি আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে বিএনপির দীর্ঘ লড়াইয়ের কথা বলেছেন। তাতে তরুণদের এগিয়ে আসার কথাও বলেছেন। কিন্তু গণ-অভ্যুত্থানের এক বছর পূর্তিতে এসে দেখছি গণ-অভ্যুত্থানের শরিকদের মধ্যে চরম বিভক্তি। এটা কেন?
মির্জা ফখরুল: এটার কারণ আছে। আমরা একটা পুরোনো অভিজ্ঞতাসমৃদ্ধ রাজনৈতিক দল। আন্দোলন, নির্বাচন, সরকার—সব কটিতে আমাদের অভিজ্ঞতা আছে। আমাদের একটা দায়িত্ব আছে সরকারে যাওয়ার ব্যাপারে, সরকার গঠন করার ব্যাপারে, দেশের ব্যাপারে। আপনারা তো খুব ভালো করে জানেন, সংস্কার প্রস্তাবটা কাদের। আমরা ২০১৬ সালে ‘ভিশন ২০৩০’ ঘোষণা করেছি। আমাদের এই যে অভিজ্ঞতাসমৃদ্ধ বক্তব্যগুলো নতুন দলগুলো নিতে পারছে না।
আর যারা বেশি করে কথা বলছে, অনেক পুরোনো রাজনৈতিক দল—তারাও বিএনপির বিরুদ্ধে কথা বলছে। আমার কাছে মনে হয় এটা তাদের কৌশল। তারা ভাবছে যে বিএনপির বিরুদ্ধে কথা বললে তারা অন্তত পার্লামেন্টে অপজিশনের জায়গাটা নিশ্চিত করতে পারবে। একটা ইলেকশন যখন সামনে আসে, তখন কিন্তু এভাবে প্রতিপক্ষ বানায়। যেহেতু সরকার এখন নিরপেক্ষ, কথাটা বলতে হবে, বিএনপির বিরুদ্ধে তারা কথা বলতে শুরু করেছে। আমি এটাকে খুব বড় সমস্যা মনে করি না। যদি আমরা কথা বলতে থাকি (জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে), সেই সমস্যাগুলো মিটে যাবে, সংস্কার ইস্যুগুলো মিটে যাবে, এগুলো এক মাসে সব মিটে যাবে।
আপনি কি মনে করেন, এই বিভক্তি আবার পতিত স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগের ফেরার পথ সুগম করছে?
মির্জা ফখরুল: কখনোই না। আমি মনে করি, সবার মধ্যে শুভবুদ্ধির উদয় হবে। এটা (বিভক্তি) এমন অনেক পর্যায়ে যাবে না, যেখান থেকে ফিরে আনা যাবে না এবং সেখানে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারকে ডেকে আনবে। হ্যাঁ, তবে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে এবং সেই জায়গায় সবাইকে সে বিষয়ে ভূমিকা পালন করতে হবে, যাতে এমন কোনো জায়গায় না যেতে হয়।
সংস্কার নিয়ে অনেক বিতর্ক হচ্ছে, রাজনৈতিক দলগুলোতে পরস্পর দোষারোপও চলছে। যদিও বিএনপিই প্রথম ২৭ দফা সংস্কার প্রস্তাব উপস্থাপন করেছিল। পরে সেটি ৩১ দফা হয়েছে। কিন্তু ক্ষমতার ভারসাম্যের ক্ষেত্রে সাংবিধানিক সংস্কারের কিছু বিষয়ে মতানৈক্য দেখা যাচ্ছে, কেন?
মির্জা ফখরুল: মতবিরোধ এ জন্যই যে প্রস্তাবগুলো আসছে কমিশন থেকে, অন্য দলগুলোর কাছ থেকে। কয়েকটা বিষয় ছাড়া বেশির ভাগ বিষয়ে আমরা একমত হয়ে গেছি। কয়েকটা বিষয় আমাদের কাছে মনে হচ্ছে এটা প্র্যাকটিক্যাল না, ফিজিবল না। যেমন একটা বিষয়ে এখন আপত্তি চলছে, নারীদের আসনে সরাসরি নির্বাচন বিষয়ে। এখন একজন মহিলাকে যদি তিনটা আসন কাভার করতে হয়, যেটা আমাদের কাছে অসম্ভব মনে হয়েছে।
সমস্যাটা হচ্ছে, উচ্চকক্ষে যে নির্বাচন, সে নির্বাচনটা পিআরের (সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে নির্বাচন) মধ্যে আসা। এটা আলোচনা করলে ঠিক হয়ে যাবে। আমাদের অভিজ্ঞতায় মনে করেছি, এটা আগের সিস্টেমে থাকা উচিত। তাঁরা বলছেন পিআর হওয়া উচিত। এটা কথা বলে ঠিক করা যাবে।
এ রকম একটা প্রেক্ষাপটে কোনো কোনো দল বলছে যে সংস্কার ছাড়া তারা নির্বাচনে যাবে না। আপনারা বলছেন সংস্কারে যতটুকু ঐকমত্য হবে, এখন ততটুকু হবে। বাকি গুরুত্বপূর্ণ সাংবিধানিক সংস্কারগুলো নির্বাচিত সরকার এসে করবে। কিন্তু কোনো কোনো দল বলছে, শুধু নির্বাচনের জন্য বা কেবল ক্ষমতার পরিবর্তনের জন্য গণ-অভ্যুত্থান হয়নি। বিষয়টিকে আপনি কীভাবে দেখেন?
মির্জা ফখরুল: এখানে একটা ভ্রান্ত মতবাদ জানানোর চেষ্টা করা হচ্ছে যে শুধু ক্ষমতার পরিবর্তনের জন্যই আন্দোলন হয়েছে বা বিএনপি আন্দোলন করেছে। আমরাই তো প্রথম রাষ্ট্রকাঠামো পরিবর্তনের কথা বলেছি। তো আপনি কী করে আমাকে ব্লেম করতে পারেন যে আমি এটা চাই না?
বাংলাদেশের কিছু কিছু ব্যক্তি কিছু কিছু মিডিয়া—এটার সংখ্যা খুব কম, তারা বিএনপিকে পছন্দ করে না। পছন্দ না করার কারণ শতভাগ রাজনৈতিক। সেটা হচ্ছে, বিএনপি শতভাগ ন্যাশনালিস্ট পলিটিক্যাল পার্টি অ্যান্ড লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি। আমরা জনগণের শক্তিতে, জনগণের মতামতে বিশ্বাস করি। জনগণ ভোট দিয়ে পার্লামেন্ট তৈরি করবে, সেই পার্লামেন্ট দেশ চালাবে, আইন তৈরি করবে। সংবিধানের সংশোধন-সংযোজনের জায়গা পার্লামেন্ট হবে বলে আমরা বিশ্বাস করি। এখন কিছু ব্যাপার আছে যে জোর করে চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করবেন, সেটা তো জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না।
আপনাদের ৩১ দফায় জাতীয় সরকার গঠনের প্রতিশ্রুতি আছে। কিন্তু ৫ আগস্টের পটপরিবর্তনের পর অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে একটি জাতীয় সরকার করার এবং সেখানে বিএনপিকে থাকার প্রস্তাব দিয়েছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা। বিএনপি এই প্রস্তাবে রাজি হলো না কেন?
মির্জা ফখরুল ইসলাম: (বৈষম্যবিরোধী) ছাত্রদের নেতাদের সঙ্গে ওই ৫ আগস্টের পর, জাস্ট ওই দিনই বা তার পরের দিন আমাদের কোনো দেখাই হয়নি। আমাদের কাছে এই প্রস্তাব আসেইনি। এই প্রস্তাবটা ছাত্রদের কাছ থেকে আসেনি, অন্য মহল থেকে আসতে পারে। কিন্তু ছাত্রদের কাছ থেকে এই প্রস্তাব আসেনি জাতীয় সরকার তৈরি করার।
অন্য মহল থেকে আসা প্রস্তাবটা বিএনপি গ্রহণ করল না কেন?
মির্জা ফখরুল ইসলাম: আমাদের যে অভিজ্ঞতা; যে সময়ে মুহূর্তে মুহূর্তে সমস্ত সিদ্ধান্ত নিতে হবে, সেই সময়ে যদি আমরা একটা ন্যাশনাল গভর্নমেন্ট করি, আমি এখনো বলছি, আমরা ওই গভর্নমেন্টকে সাত দিনও টেকাতে পারতাম না। প্রত্যেকে একেক মন নিয়ে থাকত, ন্যাশনাল গভর্নমেন্ট টিকত না।
পুরান ঢাকার ভাঙারি ব্যবসায়ী লাল চাঁদ (সোহাগ) হত্যাকে একটি মহল থেকে নির্বাচনী পরিবেশ বিঘ্নের অজুহাত করা হচ্ছে বলে আপনি বলেছিলেন। কেন এটি মনে হলো?
মির্জা ফখরুল ইসলাম: এটা মনে হচ্ছে এ কারণে যে গোটা বাংলাদেশের যে পরিস্থিতি, আপনি ভালো করে লক্ষ করলে দেখবেন যে হঠাৎ করে হত্যা বেড়েছে। আমাদের কাছে খবর আছে, একটি মহল চাইছে বাংলাদেশের নির্বাচনকে বিঘ্নিত করা, নির্বাচনকে বিলম্বিত করা। নির্বাচন যেন না হয়। এটা ভুলে যাচ্ছেন কেন, পতিত ফ্যাসিস্ট হাসিনা ভারতে যে বসে আছে, চুপ করে বসে আছে? সে তো বাংলাদেশে অস্থিতিশীল অবস্থা তৈরি করার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছে। এবং এটা ড. ইউনূসও খুব ভালো করে জানেন, গোয়েন্দারাও খুব ভালো করে জানে। তাদের এখানে পরিকল্পনা আছে বড় রকমের অঘটন ঘটাবে। বাংলাদেশের পরিস্থিতিকে তারা নষ্ট করার চেষ্টা করছে। এই জায়গাটা আমাদের সবাইকে সতর্কতার সঙ্গে এগিয়ে যেতে হবে।
মিটফোর্ডে যে ঘটনা ঘটেছে, এর চেয়ে জঘন্য ঘটনা আর কিছু হতে পারে না। কিন্তু একবার ভাবুন, এটা কি প্রথমবার এ রকম ঘটনা ঘটল? এখানে অভিযুক্ত করা হচ্ছে বিএনপিকে। যে মারা গেছে, সে-ও কিন্তু বিএনপির সঙ্গে যুক্ত ছিল। বিএনপি ওন (স্বীকার) করবে কাদের, যারা বিএনপির সক্রিয় নেতা-কর্মী তাদের। যেহেতু ঘটনাগুলো কিছু কিছু ঘটেছে অতীতে, দল থেকে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
আমি কেন এই কথাটা বলছি, এটাকে পরিকল্পিতভাবে একটা প্লট তৈরি করে, সিচুয়েশন তৈরি করে, যেন নির্বাচনকে বিঘ্নিত করা যায়, যেন আপনার গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরে যেতে না পারে, এটার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
এ পর্যন্ত প্রায় সাত হাজার নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিয়েছেন। তারপরও দলের অপরাধপ্রবণ নেতা-কর্মীদের নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না কেন?
মির্জা ফখরুল: আমি একটা কথা বলি, সবাই কি বিএনপি করে নাকি। চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী তারা আলাদা একটি দল। এরা সময়-সুযোগ বুঝে দলে ঢোকে, এই প্রবণতা তো প্রথম থেকেই আছে যে সরকারি দলের ছত্রচ্ছায়ায় যত অপকর্ম করার চেষ্টা। আমরা তো সরকারি দলও না, সম্ভাবনা আছে সরকারে যাওয়ার। এটা সরকার নিয়ন্ত্রণ করবে, ইট ইজ ফেলিওর অব দ্য গভর্নমেন্ট। উই আর নট ইন গভর্নমেন্ট। আমরা পরিষ্কারভাবে বলছি, আপনার যাকে মনে হবে যে খারাপ কাজ করছে তাকে ধরেন, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন।
লাল চাঁদ হত্যাকাণ্ডের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিএনপি ও তারেক রহমান সম্পর্কে অশালীন স্লোগান দিতে দেখা গেছে। এর লক্ষ্য কী বলে মনে করছেন।
মির্জা ফখরুল: এটা প্রমাণিত যে তারেক রহমান এখন এক নম্বর ব্যক্তিতে পরিণত হয়েছেন বাংলাদেশে। তিনি ফিউচার লিডার। এ ব্যাপারে একটা জনমত তৈরি হয়ে গেছে। বিশেষ করে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তারেক রহমানের যে মিটিংটা হলো, এই মিটিংয়ের পর যে জয়েন্ট স্টেটমেন্ট এল, এটা তো একেবারেই বিরল ঘটনা। এটা থেকে বিরোধী যারা মহল আছে, তারা এটাতে প্রচণ্ডভাবে বিরক্ত হয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে তারেক রহমানকে…। যারা বাংলাদেশের স্থিতিশীল সরকার দেখতে চায় না, যারা বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক ট্রানজিশন দেখতে চায় না, তারা এই সুযোগগুলোকে ব্যবহার করার…। না হয় আপনি দেখেন, যে স্লোগানগুলো দেওয়া হয়েছে, এই স্লোগানগুলো সম্পূর্ণ ব্যক্তিগতভাবে তাঁকে মেলাইন করার জন্য, এটা কোনো শিষ্টাচারের মধ্যে পড়ে না। একটা পলিটিক্যাল পার্টির মিশন থেকে এ ধরনের স্লোগান আসতে পারে?