বিদেশে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত মাসে মৃত্যুবরণ করেন প্রবাসী মহি উদ্দিনের ছোট ভাই। মরদেহ দেশে আসার পর তা গ্রহণ করতে গিয়ে বিমানবন্দরে হয়রানির শিকার হয় পরিবার।
পরিবারের দাবি, তাদের কাছে প্রয়োজনীয় সব কাগজপত্র ছিল, এমনকি মৃত্যু সনদও। কিন্তু বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, মরদেহ হস্তান্তরের জন্য ‘ওয়ারিশ সনদ’ প্রয়োজন। পরে কিছু কর্মকর্তা প্রস্তাব দেন, তারা কাগজপত্র নিজেরাই প্রস্তুত করে দিতে পারেন, তবে বিনিময়ে দিতে হবে ‘চা-নাস্তার খরচ’।
পরিবার ঘুষ দিতে অস্বীকার করে এবং প্রয়োজনীয় সনদ নিয়ে ১০ দিন পর ফের আসার সিদ্ধান্ত নেয়। এ বিষয়ে মোহি উদ্দিন সামাজিক মাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করে লিখেছেন, শোকাহত পরিবার থেকেও কীভাবে ঘুষ আদায়ের চেষ্টা হয়, এটি বাংলাদেশের দুর্নীতির গভীর শিকড়ের প্রমাণ।
ঘটনাটি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর অনেকে ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান। মানবাধিকারকর্মীরা বলছেন, প্রবাসীদের মরদেহ দেশে আনার প্রক্রিয়া সহজ করতে হবে এবং বিমানবন্দরে দুর্নীতি বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, সংশ্লিষ্টদের দ্রুত শনাক্ত করে শাস্তি দেওয়া এবং বিমানবন্দরে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা জরুরি। না হলে এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত অভিজ্ঞতা শোকাহত পরিবারের কষ্ট আরও বাড়িয়ে দেবে