রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসে বিধ্বস্ত হওয়া বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমানটি এফটি-সেভেন (FT-7) যুদ্ধবিমান বলে জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর–আইএসপিআর।
বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত এয়ার কমোডর ইশফাক ইলাহী চৌধুরী বিবিসি বাংলাকে জানান, বিধ্বস্ত হওয়া বিমানটি এফ-সেভেন ফাইটার প্লেনের ট্রেনিং ভার্সন হতে পারে।
এফ-সেভেন মূলত রাশিয়ার মিগ-টোয়েন্টিওয়ান (MiG-21) নামের একটি পুরনো যুদ্ধবিমানের চীনা সংস্করণ।
এই মডেলের বিমান প্রথমবার ১৯৬৬ সালে আকাশে উড়েছিল। ১৯৬৫ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত ২,৪০০-এরও বেশি এফ-সেভেন বিমান তৈরি হয়েছে।
বাংলাদেশ, চীন ও উত্তর কোরিয়া—এই তিনটি দেশ এফ-সেভেন বিমান সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করে।
তবে মাইলস্টোন স্কুলে বিমান আছড়ে পড়ার পর নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে, প্রশিক্ষণের কাজে বেশ পুরনো মডেলের এসব বিমানের ব্যবহার নিয়ে। কারণ চীনে তৈরি এসব বিমানের উৎপাদন এখন খোদ চীনেই বন্ধ হয়ে গেছে।
তবে বিমান বাহিনী প্রধান বলছেন, প্রযুক্তি পুরনো হলেও বিমানগুলো পুরোনো নয়।
বিমান সাধারণত সহজে পুরোনো হয় না। প্রত্যেকটা বিমানের একটা লাইফটাইম আছে। এই বিমানগুলো প্রায় ৩০ বছর পর্যন্ত লাইফ থাকে। এখানে মূল ব্যাপারটা হচ্ছে, ঠিকমতো রক্ষণাবেক্ষণ হচ্ছে কি-না। প্রযুক্তিগতভাবে পুরোনো হয়েছে। কিন্তু বিমান পুরোনো নয়।
তিনি বলেন, এখন আমরা নতুন প্রযুক্তির বিমান জন্য অবশ্যই আমরা চেষ্টা করছি। আমরা ভবিষ্যতে নতুন প্রযুক্তির বিমান আনবো। কিন্তু তার মানে এই না যে সেটায় দুর্ঘটনা হবে না, এটা হতেই পারে।
আপনি উন্নত বিশ্বেও দেখবেন, অত্যাধুনিক যে বিমান আছে সেগুলোও দুর্ঘটনায় পতিত হয়। কিছুদিন আগে এফ-থার্টি ফাইভের মতো জঙ্গি বিমানও দুর্ঘটনায় পতিত হয়েছে। তবে আমরা অবশ্য এই দুর্ঘটনা থেকে শিক্ষা নেবো এবং ভবিষ্যতে এটার প্রতিকার করবো।