সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে চুরির অভিযোগে ইছা মিয়া (৩৫) নামের এক যুবলীগ নেতাকে হাত-পা বেঁধে মারধরের পর মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ইছা মিয়া উপজেলার দক্ষিণ বড়দল ইউনিয়নের সাধেরখলা গ্রামের সায়েদ আলীর ছেলে এবং ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ৩১ মে রাতে সাধেরখলা হাজি এমএ জাহের উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন রহিম মিয়ার দোকানে চুরির ঘটনা ঘটে। পরদিন সকালে গ্রামবাসীরা ইছাকে সন্দেহভাজন হিসেবে ধরে আনে। অভিযোগ রয়েছে, রহিম মিয়ার দোকানের খুঁটিতে বেঁধে মারধর করার পর ইছা মিয়া চুরি করার কথা স্বীকার করেন এবং চুরি হওয়া কিছু মালামাল উদ্ধার করে দেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয়রা জানান, ইছা মিয়া একাধিক বাড়ি ও মসজিদে চুরি করেছেন বলে স্বীকার করেছেন। আটকের পর তার পরিবার ও স্বজনদের খবর দেওয়া হলেও তারা আসেননি। পরবর্তীতে ইউপি সদস্য রোপন মিয়াসহ স্থানীয়রা মুচলেকা নিয়ে তাকে ছেড়ে দেন।
দক্ষিণ বড়দল ইউপি সদস্য রোপন মিয়া জানান, রহিম মিয়ার বাড়িতে চুরির ঘটনায় স্থানীয়রা ইছা মিয়াকে ধরে এনে বেঁধে রেখেছিল। পরে সে চুরির কথা স্বীকার করে এবং কিছু মালামাল ফেরত দেয়। তিনি বলেন, “আমরা যাওয়ার পরে কাগজে তার মুচলেকা রেখে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে লোকজন জানিয়েছে।”
তাহিরপুর থানার ওসি দেলোয়ার হোসেন জানান, চুরির অভিযোগে কাউকে ধরে এনে শাস্তি দেওয়া বেআইনি। এ বিষয়ে কেউ থানায় অভিযোগ করেনি। তিনি জানান, অভিযোগ পেলে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এছাড়া চুরির বিষয়েও এখন পর্যন্ত কেউ কোনো অভিযোগ করেনি।